এবার গণতন্ত্রে উন্নয়নই প্রধান বিষয় উল্লেখ করে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, গ্রামের মানুষ ‘গণতন্ত্র’ এসব টার্ম খুব একটা বোঝে না। তারা ভাত-রুটি, চিকিৎসা, রাস্তাঘাট, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানি চায়।
আজ বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) পুরান কমিটির বিদায়, নতুন কমিটির অভিষেক ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় দেশের মানুষ উন্নয়ন চায় জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রে উন্নয়নই প্রধান বিষয় এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমরা রাজনীতি করি ও সব সময় গ্রামের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গ্রামের মানুষ গণতন্ত্র বা এসব টার্ম খুব একটা বোঝে না। গ্রামে যখন যাই, তখন তারা ভাত-রুটি, ছেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানি চায়।
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে পার্থক্য নেই। গ্রামে গ্রামে এখন উন্নয়ন বিষয় চলে এসেছে। কবে একনেক হবে কি কি প্রকল্প অনুমোদন হলো এটা গ্রামের মানুষ জানতে চায়। গ্রামে চায়ের দোকানে প্রকল্প ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল-পদ্মাসেতু নিয়ে মানুষ আলোচনা করে। এ বিষয়ে মানুষ জানতে চায়।
এ সময় গ্রাম ও শহর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অনেকের মধ্যে গ্রাম ও শহর নিয়ে নানা ধরনের যুক্তি-তর্ক ও আলোচনা হয়। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখেননি। গ্রামের উন্নয়নে সরকার নানা ধরনের সাহসী প্রকল্প গ্রহণ করছে। তবে আমার ভূমিকা ছিল ক্ষুদ্র। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছি।
এম এ মান্নান আরও বলেন, পাকিস্তানি আমলে উন্নয়ন সাংবাদিক বলতে কিছু ছিল না। রাজনীতির খবরই শুধু দেখতাম। এখন সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চায়। নগর ও গ্রামের প্রথা ভাঙছেন শেখ হাসিনা। কায়েমি স্বার্থবাদীদের চোখে চোখ রেখে নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তবে আমাদের সবাইকে জনগণের টাকা খরচে মিতব্যয়ী হতে হবে।